জেনে নিন পৃথিবীর নিচে আসলে কি আছে | মজার বিজ্ঞান : পর্ব - ২ - SIEC | Forward Thiking

Breaking

SIEC

Header ADS

Friday, April 24, 2020

জেনে নিন পৃথিবীর নিচে আসলে কি আছে | মজার বিজ্ঞান : পর্ব - ২


অনেকে বলে পানি আছে, কেউ কেউ বলে আগুন আছে, আর সবাই বলে মাটি আছে..
আমি সবার সাথেই একমত, কিন্তু এগুলো থাকে কিভাবে?? আমরা যে এখন ভূমি পাইছি এটা তো লক্ষ বছর আগে এমন ছিলো নাহ!! বছরের পর বছর পরিবর্তনের ফলে আমরা একটা স্থির ভূত্বক পেয়েছি যেটাকে ক্রাস্ট(crust) বলে.. এটা ৭ থেকে ৪০, ৬০, ১০০ মাইল পর্যন্ত, মানে আমরা যদি মাটির নিচে ১০০ মাইল পর্যন্ত খুড়ি তাহলে মাটি, পাথর, বালি, ভাগ্য ভালো থাকলে খনি,কয়লা,স্বর্ণ এগুলোও পেতে পারি..


ক্রাস্টের নিচে আরেকটা স্তর আছে ম্যান্টল, যেটার ১৮০০ মাইল পর্যন্ত পুরুত্ব.. এটা না খুব পাজি, মাঝে মাঝে তার উপরে ভাসমান ক্রাস্টকে ভেংগে ফেলে.. ফলে শক্ত ক্রাস্ট আলাদা হয়ে যায়, মানে আমরা যেখানে দাড়াই সেটাই খুব শক্ত ক্রাস্টের বিচ্ছিন্ন স্তর, যেটাকে টেকটনিক প্লেট বলে.. মহাদেশগুলো এরকম টেকটনিক প্লেটের উপর অবস্থিত.. কোটি কোটি বছর ধরে এগুলো পৃথিবীর উপর এসে জমা হয়েছে.. এই প্লেটটাকেই আমরা মাটি মনে করি..

এখন আসবো আসল কথায়.. এই পৃথিবীর অভ্যন্তরে মাত্র ৩টা ভাগ আছে.. শিলা মন্ডল, গুরুমন্ডল আর কেন্দ্র মন্ডল..
শিলামন্ডল আসলে খুব ভালো, আমরা নিচের দিকে তাকালে যাই দেখি তাই শিলা(ইহা কিন্তু শিলা কি জাওয়ানি নহে).. আমরা হাতের থেকে যা কিছুই ফেলি না কেনো সবকিছুই শিলামন্ডলে গিয়ে পড়ে.. তাহলে কি হলো?? শিলামন্ডল হলো সেই অংশ যেটা পৃথিবীর সবচেয়ে উপরে থাকে.. মানে আমাদের কাছাকাছি থাকে.. ক্রাস্ট, টেকটনিক প্লেট সবই শিলার বাচ্চাকাচ্চা..


ফেইসবুক গ্রুপ :

ফেইসবুক গ্রুপ : বিজ্ঞানচিন্তা ও প্রযুক্তি জয়েন করুন এখানে ক্লিক করুন



এরপরে আরেকটু গভীরে যাই.. শিলা আপুর পরের স্তরটা হচ্ছে গুরুমন্ডল.. গুরুমন্ডল একদম গুরুগম্ভীর, খুব রাগী সে.. সে সবার মাঝখানে থাকতে চায়, যাতে কেউ তাকে ধরতে না পারে.. তাই এই গুরুমন্ডল অলটাইম পৃথিবীর উপরে-নিচের দুটোস্তরের একদম মাঝখানে থাকে.. আবার এই গুরুগম্ভীর পন্ডিতের দুটো ছেলে আছে..


একটা নিফেসিমা (নিকেল, ফেরাস/লোহা, সিলিকা & ম্যাগনেসিয়াম) আর আরেকটা ক্রোফেসিমা (ক্রোমিয়াম, ফেরাস, সিলিকা & ম্যাগনেসিয়াম)..তারপর এই গুরুমন্ডলের পর, পৃথিবীর একদম নিচে, একদমই নিচে তার তো একটা কেন্দ্র থাকার কথা!!



ঘুরে আসুন :গল্প ও ওহমের সূত্র | পর্ব- ১



 সেটাই হচ্ছে কেন্দ্রমন্ডল.. এই কেন্দ্রমন্ডলেরও দুটো পোলাপান আছে.. একটার নাম অগা(অন্ত:কেন্দ্



ঘুরে আসুন :মহাবিশ্বের অজানা রহস্য : পর্ব- ১



রমন্ডল) আরেকটার নাম বগা(বহি:কেন্দ্রমন্ডল).. অগা হচ্ছে সত্যি সত্যিই পৃথিবীর কেন্দ্রতে.. যাকে কখনোই আমরা নিজের চোখে দেখতে পারিনি, অনেক দূরে তো তাই.. এই অগা বেচারীর গায়ে অনেক জ্বর থাকে সবসময়, ৫১৫০ ডিগ্রী তাপ থাকে তার.. এটার ঘনত্ব পানি থেকে ১৩.৩-১৩.৬ গুন হয়..




ঘুরে আসুন :মহাবিশ্বের অজানা রহস্য : পর্ব - ২



এরপর আসছি বগার কথায়, ও অগার উপরেই থাকে, অর্থাৎ বগার থেকেই শুরু হয় কেন্দ্রমন্ডলের যাত্রা.. ওর গায়ে অগার থেকে কম জ্বর থাকে, মাত্র ৪০০০ ডিগ্রী.. আর ওর ঘনত্ব পানির ১০ গুন মাত্র..


জ্বর যেহেতু ছোয়াচে রোগ তাই আমাদের উচিত হবে না পৃথিবীর কেন্দ্রমন্ডলে গিয়ে নাচানাচি করা..


তথ্যসূত্রঃ গুগল, ইউটিউব


ফেসবুক পেইজ : নাদিম সায়েন্স ল্যাব
ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
আমাদের ব্লগ আপনার লেখা দিতে পাঠিয়ে দিন এই ইমেইল এ :   safollobd@gmail.com

No comments:

Post a Comment